শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা:: মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) আরও ১১৪ জন সদস্য একসঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত গত ৭২ ঘণ্টায় ২২৯ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিল দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। তাদেরকে স্থানীয়রা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছেন। পরে তাদের রহমতেরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুজনকে রিসিভ করলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। এরপর একসঙ্গে ১১৪ জন প্রবেশ করেন উখিয়ার বালুখালীর রহমতেরবিল সীমান্ত দিয়ে।
পালংখলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড রহমতেরবিলের ইউপি সদস্য আলতাছ আহমেদ বলেন, একসাথে শতাধিক মিয়ানমার বিজিপি আমার এলাকায় প্রবেশ করে বিজিবিকে খূঁজতে থাকে। আমরা বিজিবিকে খবর দিলে বিজিবি তাদেরকে বুঝিয়ে নিয়েছে।
এদিকে মিয়ানমার এলাকায় হওয়া যুদ্ধের গোলা ও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামে। এ ঘটনায় কক্সবাজার বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছে।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা আবারো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশংকা করছেন। তবে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি প্রশাসন পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বিজিবিসহ আইন শৃংখলা বাহিনী সীমান্তে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।